
প্রথম অধ্যায়: নকশার আবিষ্কার
রিজু বসে আছে তার দাদুর পুরনো আট্টিকে। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, আর ঘরের মধ্যে একটি পুরনো বাক্স খোলার শব্দ। তার দাদু গত মাসে চলে গিয়েছেন, আর রিজু তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখছে। হঠাৎ তার হাতে এল একটি পুরনো কাগজ, ভাঁজ করা আর মলিন। খুলে দেখে, এটি একটি নকশা—একটি জঙ্গল, একটি নদী, আর একটি চিহ্ন যেখানে লেখা “রহস্যের সমাধি”।
রিজুর বয়স সতেরো। সে গ্রামের ছেলে, কিন্তু তার মনে সবসময় কৌতূহল। তার বন্ধু রাহুল আর মিতা তার সঙ্গে থাকে। রাহুল বলল, “এটা কি সত্যি?” মিতা হেসে বলল, “হয়তো কোনো ছেলেবেলার খেলনা।” কিন্তু রিজু জানত, দাদু কখনো মিথ্যা বলতেন না। নকশার কোণে একটি তারিখ—১৯৫০—আর একটি লেখা: “যারা সাহসী, তারা পাবে।”

দ্বিতীয় অধ্যায়: জঙ্গলের প্রবেশ
পরদিন তিনজন বন্ধু জঙ্গলে গেল। নকশা অনুসারে তাদের যেতে হবে কালীঘাট জঙ্গলে, যেখানে গ্রামের লোকজন যায় না। বলা হয়, সেখানে ভূত আছে। রিজু নকশা হাতে এগোল, আর রাহুল একটি টর্চ নিয়ে গেল। মিতা বলল, “আমার ভালো লাগছে না।” কিন্তু তারা থামল না।
জঙ্গলে ঢোকার পর তাদের কানে এল একটি অদ্ভুত শব্দ—যেন কেউ ফিসফিস করছে। রাহুল ভয় পেয়ে বলল, “চল, ফিরে যাই।” কিন্তু রিজু বলল, “দাদু আমাকে বিশ্বাস করতে বলেছিল।” তারা এগিয়ে গেল, আর হঠাৎ একটি পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেল। নকশার চিহ্ন এখানেই মিলছিল।

তৃতীয় অধ্যায়: রহস্যের মোকাবিলা
মন্দিরের ভেতরে তাদের দেখা মিলল একটি পাথরের বাক্স। রিজু তা খুলতে গেল, কিন্তু হঠাৎ আলো জ্বলে উঠল। একটি ছায়ামূর্তি উঠে এল, যার গলা শোনা গেল, “তুমি কে, যে আমার সমাধি ভাঙতে এসেছে?” রিজু ভয় পেল, কিন্তু সে বলল, “আমি রিজু, আমার দাদুর উত্তরাধিকারী।” ছায়া চুপ করে গেল।
মিতা বলল, “এটা ভূত!” কিন্তু রাহুল দেখল, বাক্সে একটি সোনার মেডেল আর একটি চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, “এটি তোমার দাদুর সাহসের পুরস্কার। এটি গ্রামের জন্য ব্যবহার কর।” তিনজন অবাক হয়ে গেল। ছায়া মিলিয়ে গেল, আর জঙ্গল শান্ত হয়ে গেল।

চতুর্থ অধ্যায়: আলোর জয়
বাড়ি ফিরে রিজু তার বাবাকে সব বলল। বাবা বলল, “দাদু একজন স্বাধীনতা সেনানী ছিলেন। এই মেডেল তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন।” গ্রামের লোকজন জানতে পেরে একটি উৎসব করল। মেডেল বিক্রি করে তারা একটি স্কুল বানালো। রিজু বুঝল, তার দাদুর রহস্য তাকে একটি পাথে নিয়ে গিয়েছিল—সাহস আর সেবার পথে।